আপনারা অনেকেই হয়তো জানেননা, প্রকৃতিতেই লুকিয়ে আছে যৌন সমস্যার অনেক সমাধান, প্রতিদিন খাবার তালিকায় কিছু পরিবর্তন করলেই স্বাস্থ্যকর যৌন জীবন পেতে পারেন। আসুন জেনে নেই সে সম্পর্কে-

 ১। ডিমঃ 

ডিম যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটি খাবার। ডিমে প্রচুর ভিটামিন বি-৫ ও বি-৬ আছে। যা শরীরের হরমোনের কার্যক্রম ঠিক রাখে, মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। সকালে নাস্তায় একটি করে ডিম রাখুন। এতে আপনার শরীর শক্তি পাবে ও যৌন শক্তি বাড়বে।


২। কলিজাঃ 

পুরুষের যৌন জীবনে খাদ্য হিসেবে কলিজারও অনেক ভূমিকা রয়েছে, কারন কলিজায় প্রচুর পরিমানে জিংক থাকে। আর জিংক শরীরে টেস্টোসটেরন হরমনের মাত্রা বেশী পরিমানে রাখে। যথেষ্ট পরিমানে জিংক শরীরে না থাকলে পিটুইটারি গ্রন্থ থেকে যে হরমন নিঃসৃত হয় টেস্টোসটেরন তৈরীতে সাহায্য করে, তাছাড়া জিংকের কারনে আরো মেটেস এনজাইম নিঃসৃত হয়। এই এনজাইমটি অতিরিক্ত টেস্টোসটেরন কে এস্ট্রোজেনে পরিনত করতে সাহায্য করে। এস্ট্রোজেনও আপনার যৌনতার জন্য প্রয়োজনীয় একটি হরমন, তাই মাঝে মাঝে কলিজা খাওয়ার চেষ্টা করুন।


৩। মধুঃ 

মধু খেলে কফ দুর হয়, পাকস্থলী পরিষ্কার হয়, দেহের অতিরিক্ত দুষিত পদার্থ বের হয়, গ্রন্থ খুলে দেয়, পাকস্থলী স্বাভাবিক থাকে, মস্তিষ্ক শক্তি লাভ করে, স্বাভাবিক তাপে শক্তি আসে, রতি শক্তি বাড়ে, মুত্রথলির পাথর দূর করে। প্রসাব স্বাভাবিক রাখে, গ্যাস নির্গত হয়। খুধা বাড়ায়। প্যারালাইসিস এর জন্যও অনেক উপকারী।


৪। দুধঃ 

যৌন শক্তি বাড়াতে এবং যৌবন ধরে রাখতে দুধের ভুমিকা অতুলনীয়। বিশেষকরে ছাগলের দুধ পুরুষের যৌনশক্তি বাড়াতে অসাধারন ভুমিকা রাখে।


৫। বাদাম ও বিভিন্ন বীজঃ 

কুমড়োর বীজ, সুর্যমুখীর বীজ, চীনা বাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মনোসেচুরেটেড ফ্যাট আছে। এগুলো শরীরে উপকারী কোলেস্ট্রল তৈরী করে। সেক্স হরমনগুলো ঠিকমত কাজ করার জন্য এই কোলেস্ট্রল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই প্রতিদিন অল্প করে হলেও বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনার যৌনস্বাস্থ্য ভালো থাকবে।


৬। চাঃ 

প্রতিদিন দুধ চিনি ছাড়া চা পান করলে শরীরে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, চা ব্রেইনকে সচল রাখে। রক্ত চলাচল বাড়ায়, সৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত পাচ কাপ দুধ চিনি ছাড়া সবুজ চা বা রং চা খেলে যৌন স্বাস্থ্য ভালো থাকে। শরীরের ওজন কিছুটা হলেও কমে যায়।


৭। রঙিন ফলঃ 

 যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন ফল রাখুন। আঙ্গুর, কলা, তরমুজ, কমলালেবু ইত্যাদি ফল যৌন ক্ষমতা বাড়ার জন্য অনেক উপকারী। গবেষণা অনুযায়ী পুরুষের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অন্তত ২০০মিলি গ্রাম ভিটামিন সি থাকলে তার স্পামের কোয়ালিটি ভালো হয়। তরমুজ শরীরে যৌন উদ্দীপনা বাড়ায়। ভায়াগ্রার সাথে তরমুজের তুলনা করা হয়।



"আপনার জীবনকে আনন্দময় করে তুলতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করুন। সেই জন্য বেশি বেশি গাছ লাগান। গাছ আপনার পরিবেশকে অনেক সুন্দর করে তুলবে।"

ধন্যবাদ।


বর্তমানে আধুনিক প্রসাধনী সামগ্রী তৈরির প্রধান উপাদান হল ভিটামিন-ই।
এটা মানব স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। ডাক্তারও ত্বক্, চুল ও স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য ভিটামিন-ই নির্দেশ করে। চিকিৎসায় এটিকে আলফা-টোকোফেরল আখ্যায়িত করা হয়। চলুন দেখা যাক চুল ও ত্বক এ এটার উপকারিতা-

১। বার্ধক্যগ্রস্ত বিরধী সুবিধাঃ  

ত্বকের বার্ধক্যের সঙ্গে, এটা কোলাজেন এবং কোষের অ উৎপাদন কারণে স্থিতিস্থাপকতা এবং দৃঢ়তা হারায়। পাশাপাশি, দূষণ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্য, ইত্যাদি চামড়া পক্বতা দ্বারা আলোড়ন সৃষ্টি অধোগামী একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন-ই তেল এন্টিওক্সিডেন্ট দ্বারা পরিপুর্ন যা বলিরেখা দূর করে।

 ২। নরম ঠোঁট প্রদানঃ

যদি নিয়মিত ভিটামিন-ই নেন তাহলে জিবনে কখনও ফাটা ও শুষ্ক ত্বকের বিড়ম্বনায় পরতে হবে না। এটি ব্যবহার করা অনেক সহজ। এটি ঠোটকে গোলাপী রং এর আভা দিবে এবং নরম করে তুলবে।

৩। ত্বক নরম করবেঃ

সপ্তাহে একবার রাত এ লোশন এর পরিবর্তে ব্যবহার করলে ত্বক নরম হবে, সুন্দর হবে। কয়েক ফোটা উষ্ণ ভিটামিন-ই তেল হাতের তালুতে নিয়ে হালাকভাবে মুখ ম্যাসেজ করতে হবে। পরদিন সকালে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বককে কোমল করে দিবে।

৪। মেকআপ তুলতে সাহায্য করেঃ

তুলাপিন্ড তেল এ চুবিয়ে নিয়ে যেসব জায়গা থেকে মেকআপ তুলতে হবে সেসব জায়গায় হালকা করে ম্যাসেজ করতে হবে।

৫। স্ট্রেচ এর দাগ দূর করেঃ অধিকাংশ মহিলা এই সমস্যায় ভোগে। ভিটামিন-ই ক্যাপ্সুল থেকে তরল বের করে লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে যেসব জায়াগায় দাগ রয়েছে সেসব জায়গায় লাগাতে হবে। আধা ঘন্টা রাখতে হবে।


Translate

Blog Archive

Powered by Blogger.

Popular Posts

Video of The Day